শুমারী 5

যে সমস্ত কাজের জন্য গুনাহের কোরবানীর প্রয়োজন

1“নিজের দেখা বা শোনা কোন ব্যাপারের বিচারের সময়ে সাক্ষ্য দেবার সুযোগ পেয়েও যদি কেউ চুপ করে থাকে তবে সেটা তার পক্ষে গুনাহ্‌হবে এবং সেই অন্যায়ের জন্য তাকে দায়ী করা হবে।

2“যদি কেউ না জেনে কোন নাপাক কিছু ছুঁয়ে ফেলে তবে সে নিজেও নাপাক হবে এবং দোষী হবে, সেটা কোন নাপাক বুনো বা পোষা প্রাণীর মৃতদেহই হোক কিংবা যে কোন ছোটখাটো প্রাণীর মৃতদেহই হোক।

3“যা মানুষকে নাপাক করে মানুষের শরীরের এমন নাপাক কোন কিছু যদি কেউ না জেনে ছুঁয়ে ফেলে তবে তা জানবার পরে সে দোষী হবে।

4“অসাবধান হয়ে কসম খেয়ে ফেলতে পারে এমন কোন বিষয়ে কেউ যদি চিন্তা না করে ভাল-মন্দ কিছু করবার কসম খেয়ে বসে তবে সেটা না জেনে করলেও তা জানবার পরে সে দোষী হবে।

5“এই সব অন্যায়ের কোন একটা করে যদি কেউ দোষী হয় তবে যে অন্যায় সে করেছে তা তাকে স্বীকার করতে হবে। 6তখন সেই অন্যায়ের জরিমানা হিসাবে তাকে মাবুদের উদ্দেশে গুনাহের কোরবানীর জন্য একটা বাচ্চা-ভেড়ী কিংবা বাচ্চা-ছাগী নিয়ে আসতে হবে, আর ইমাম তার অন্যায় ঢাকা দেবার ব্যবস্থা করবে।

7“যদি সে বাচ্চা-ভেড়ী আনতে না পারে, তবে তার সেই অন্যায়ের জরিমানা হিসাবে মাবুদের উদ্দেশে তাকে দু’টা ঘুঘু না হয় দু’টা কবুতর আনতে হবে। তার মধ্যে একটা হবে গুনাহের কোরবানীর জন্য আর অন্যটা পোড়ানো-কোরবানীর জন্য। 8সে তা এনে ইমামের হাতে দেবে আর ইমাম প্রথমে গুনাহের কোরবানীর জন্য আনা পাখীটা কোরবানী দেবে। সে সেটা দুই টুকরা না করে মাথাটা গলা থেকে মুচ্‌ড়ে আলগা করে নেবে। 9তারপর সে পাখীটা থেকে কিছু রক্ত নিয়ে কোরবানগাহের চারপাশের গায়ে ছিটিয়ে দেবে, আর বাকী রক্ত চেপে বের করে কোরবানগাহের গোড়ায় ফেলবে; এটা একটা গুনাহের কোরবানী। 10অন্য পাখীটা দিয়ে নিয়ম অনুসারে পোড়ানো-কোরবানী করে ইমাম তার সেই অন্যায় ঢাকা দেবার ব্যবস্থা করবে; তাতে তাকে মাফ করা হবে।

11“যদি সে দু’টা ঘুঘু বা দু’টা কবুতর আনতে না পারে, তবে গুনাহের কোরবানীর জন্য তাকে এক কেজি আটশো গ্রাম মিহি ময়দা আনতে হবে। এটা গুনাহের কোরবানী বলে সে তার উপর তেলও ঢালবে না বা লোবানও রাখবে না। 12সেই ময়দা সে ইমামের কাছে নিয়ে যাবে। পুরো কোরবানীর বদলে ইমাম তা থেকে এক মুঠো ময়দা তুলে নিয়ে কোরবানগাহে মাবুদের উদ্দেশে আগুনে দেওয়া-কোরবানীর জিনিসের উপর পুড়িয়ে ফেলবে; এটা একটা গুনাহের কোরবানী। 13সে যে অন্যায় করেছে ইমাম এইভাবে তা ঢাকা দেবার ব্যবস্থা করবে আর তাতে তাকে মাফ করা হবে। এই কোরবানীর জিনিসের বাদবাকী অংশ শস্য-কোরবানীর জিনিসের মতই ইমামের পাওনা হবে।”

দোষের কোরবানী

14এর পর মাবুদ মূসাকে বললেন, 15“মনে অন্যায়ের ইচ্ছা না রেখে যদি কেউ পাক-পবিত্র জিনিসের ব্যাপারে মাবুদের হুকুম অমান্য করে, তবে তার অন্যায়ের জরিমানা হিসাবে মাবুদের কাছে তাকে একটা নিখুঁত পুরুষ ভেড়া আনতে হবে। এটা একটা দোষের কোরবানী। তা ছাড়া ধর্মীয় শেখেল অনুসারে যতটা রূপা তুমি ভেড়াটার দাম ঠিক করে দেবে সেই পরিমাণ রূপা তাকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে দিতে হবে। 16সেই পাক-পবিত্র জিনিসের ব্যাপারে সে অন্যায় করেছে বলে তাকে এই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়া ভেড়াটার দামের সংগে আরও পাঁচ ভাগের এক ভাগ দাম তাকে ইমামের হাতে দিতে হবে। ইমাম সেই ভেড়াটা নিয়ে দোষের কোরবানী হিসাবে তা কোরবানী দিয়ে তার অন্যায় ঢাকা দেবার ব্যবস্থা করবে আর তাতে তাকে মাফ করা হবে।

17“যদি কেউ না জেনে মাবুদের নিষেধ করা কোন কিছু করে অন্যায় করে ফেলে তবে সে দোষী হবে এবং সেইজন্য তাকে দায়ী হতে হবে। 18তখন সে তার দোষের কোরবানীর জন্য তোমার ঠিক করে দেওয়া মূল্যের একটা নিখুঁত ভেড়া এনে ইমামের হাতে দেবে। সে না জেনে যে অন্যায় করেছে তার জন্য ইমাম তার অন্যায় ঢাকা দেবার ব্যবস্থা করবে; তাতে তাকে মাফ করা হবে। 19এটা একটা দোষের কোরবানী, কারণ সে মাবুদের কাছে দোষী।”