পয়দায়েশ 6

5মাবুদ দেখলেন দুনিয়াতে মানুষের নাফরমানী খুবই বেড়ে গেছে, আর তার দিলের সব চিন্তা-ভাবনা সব সময়ই কেবল খারাপীর দিকে ঝুঁকে আছে। 6-7এতে মাবুদ অন্তরে ব্যথা পেলেন। তিনি দুনিয়াতে মানুষ সৃষ্টি করেছেন বলে দুঃখিত হয়ে বললেন, “আমার সৃষ্ট মানুষকে আমি দুনিয়ার উপর থেকে মুছে ফেলব; আর তার সংগে সমস্ত জীবজন্তু, বুকে-হাঁটা প্রাণী ও আকাশের পাখীও মুছে ফেলব। এই সব সৃষ্টি করেছি বলে আমার মনে কষ্ট হচ্ছে।” 8কিন্তু নূহের উপরে মাবুদ সন্তুষ্ট রইলেন।

হযরত নূহ্‌(আঃ)

9এই হল নূহের জীবনের কথা। নূহ্‌একজন সৎ লোক ছিলেন। তাঁর সময়কার লোকদের মধ্যে তিনিই ছিলেন খাঁটি। আল্লাহ্‌র সংগে তাঁর যোগাযোগ-সম্বন্ধ ছিল। 10সাম, হাম আর ইয়াফস নামে নূহের তিনটি ছেলে ছিল। 11সেই সময় আল্লাহ্‌র কাছে সারা দুনিয়াটাই গুনাহের দুর্গন্ধে এবং জোর-জুলুমে ভরে উঠেছিল। 12আল্লাহ্‌দুনিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখলেন যে, তা দুর্গন্ধময় হয়ে গেছে, কারণ দুনিয়ার মানুষের স্বভাবে পচন ধরেছে।

13এই অবস্থা দেখে আল্লাহ্‌নূহ্‌কে বললেন, “গোটা মানুষ জাতটাকেই আমি ধ্বংস করে ফেলব বলে ঠিক করেছি। মানুষের জন্যই দুনিয়া জোর-জুলুমে ভরে উঠেছে। মানুষের সংগে দুনিয়ার সব কিছুই আমি ধ্বংস করতে যাচ্ছি। 14তুমি গোফর কাঠ দিয়ে তোমার নিজের জন্য একটা জাহাজ তৈরী কর। তার মধ্যে কতগুলো কামরা থাকবে; আর সেই জাহাজের বাইরে এবং ভিতরে আল্‌কাত্‌রা দিয়ে লেপে দেবে। 15জাহাজটা তুমি এইভাবে তৈরী করবে: সেটা লম্বায় হবে তিনশো হাত, চওড়ায় পঞ্চাশ হাত, আর তার উচ্চতা হবে ত্রিশ হাত। 16জাহাজটার ছাদ থেকে নীচে এক হাত পর্যন্ত চারদিকে একটা খোলা জায়গা রাখবে আর দরজাটা হবে জাহাজের এক পাশে। জাহাজটাতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা থাকবে। 17আর দেখ, আমি দুনিয়াতে এমন একটা বন্যার সৃষ্টি করব যাতে আসমানের নীচে যে সব প্রাণী শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে বেঁচে আছে তারা সব ধ্বংস হয়ে যায়। দুনিয়ার সমস্ত প্রাণীই তাতে মারা যাবে।

18“কিন্তু আমি তোমার জন্য আমার ব্যবস্থা স্থাপন করব। তুমি গিয়ে জাহাজে উঠবে আর তোমার সংগে থাকবে তোমার ছেলেরা, তোমার স্ত্রী ও তোমার ছেলেদের স্ত্রীরা। 19তোমার সংগে বাঁচিয়ে রাখবার জন্য তুমি প্রত্যেক জাতের প্রাণী থেকে স্ত্রী-পুরুষ মিলিয়ে এক এক জোড়া করে জাহাজে তুলে নেবে। 20প্রত্যেক জাতের পাখী, জীবজন্তু ও বুকে-হাঁটা প্রাণী এক এক জোড়া করে তোমার কাছে আসবে যাতে তুমি তাদের বাঁচিয়ে রাখতে পার; 21আর তুমি সব রকমের খাবার জিনিস জোগাড় করে মজুদ করে রাখবে। সেগুলোই হবে তোমার ও তাদের খাবার।”

22নূহ্‌তা-ই করলেন। আল্লাহ্‌র হুকুম মত তিনি সব কিছুই করলেন।

পয়দায়েশ 7

মহাবন্যা

1এর পরে মাবুদ নূহ্‌কে আবার বললেন, “তুমি ও তোমার পরিবারের সবাই জাহাজে উঠবে। আমি দেখতে পাচ্ছি, এখনকার লোকদের মধ্যে কেবল তুমিই সৎ আছ। 2তুমি পাক পশুর প্রত্যেক জাতের মধ্য থেকে স্ত্রী-পুরুষ মিলিয়ে সাত জোড়া করে তোমার সংগে নেবে, আর নাপাক পশুর মধ্য থেকেও স্ত্রী-পুরুষ মিলিয়ে এক জোড়া করে নেবে। 3আকাশে উড়ে বেড়ায় এমন পাক পাখীদের মধ্য থেকেও স্ত্রী-পুরুষ মিলিয়ে সাত জোড়া করে তোমার সংগে নেবে। দুনিয়ার উপর তাদের বংশ বাঁচিয়ে রাখবার জন্যই তুমি তা করবে। 4আমি আর সাত দিন পরে দুনিয়ার উপরে বৃষ্টি পড়বার ব্যবস্থা করব। তাতে চল্লিশ দিন আর চল্লিশ রাত ধরে বৃষ্টি পড়তে থাকবে। আমি ভূমিতে যে সব প্রাণী সৃষ্টি করেছি তাদের প্রত্যেকটিকে দুনিয়ার উপর থেকে মুছে ফেলব।” 5মাবুদের হুকুম মতই নূহ্‌সব কাজ করলেন।

6দুনিয়াতে বন্যা শুরু হওয়ার সময় নূহের বয়স ছিল ছ’শো বছর। 7বন্যা থেকে রক্ষা পাবার জন্য নূহ, তাঁর স্ত্রী, তাঁর ছেলেরা এবং ছেলেদের স্ত্রীরা সেই জাহাজে গিয়ে উঠলেন। 8-9 আল্লাহ্‌নূহ্‌কে হুকুম দেবার সময় যা বলেছিলেন সেইভাবে পাক ও নাপাক পশু, পাখী ও বুকে-হাঁটা প্রাণীরা স্ত্রী-পুরুষ মিলে জোড়ায় জোড়ায় সেই জাহাজে নূহের কাছে গিয়ে উঠল। 10সেই সাত দিন পার হয়ে গেলে পর দুনিয়াতে বন্যা হল। 11নূহের বয়স যখন ছ’শো বছর চলছিল, সেই বছরের দ্বিতীয় মাসের সতেরো দিনের দিন মাটির নীচের সমস্ত পানি হঠাৎ বের হয়ে আসতে লাগল আর আকাশেও যেন ফাটল ধরল। 12চল্লিশ দিন আর চল্লিশ রাত ধরে দুনিয়ার উপরে বৃষ্টি পড়তে থাকল।

13যেদিন বৃষ্টি পড়তে শুরু করল সেই দিন নূহ, তাঁর স্ত্রী, তাঁর ছেলে সাম, হাম ও ইয়াফস এবং তাঁর তিন ছেলের স্ত্রীরা গিয়ে জাহাজে উঠেছিলেন। 14তাঁদের সংগে প্রত্যেক জাতের এক এক জোড়া করে বন্য ও গৃহপালিত পশু, বুকে-হাঁটা প্রাণী আর সব রকম পাখীও উঠেছিল। 15শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকা সব প্রাণীই জোড়ায় জোড়ায় নূহের কাছে জাহাজে গিয়ে উঠেছিল। 16আল্লাহ্‌নূহ্‌কে হুকুম দেবার সময় যা বলেছিলেন সেই অনুসারে স্ত্রী-পুরুষ মিলেই তারা উঠেছিল। এর পর মাবুদ জাহাজের দরজাটা বন্ধ করে দিলেন।

17তারপর থেকে চল্লিশ দিন ধরে দুনিয়াতে বন্যার পানি বেড়েই চলল। পানি বেড়ে যাওয়াতে জাহাজটা মাটি ছেড়ে উপরে ভেসে উঠল। 18পরে দুনিয়ার উপরে পানি আরও বেড়ে গেল এবং জাহাজটা পানির উপরে ভাসতে লাগল। 19দুনিয়ার উপরে পানি কেবল বেড়েই চলল; ফলে যেখানে যত বড় বড় পাহাড় ছিল সব ডুবে গেল। 20সমস্ত পাহাড়-পর্বত ডুবিয়ে পানি আরও পনেরো হাত উপরে উঠে গেল।

21এর ফলে মাটির উপরে ঘুরে বেড়ানো সমস্ত প্রাণী, পাখী, গৃহপালিত আর বন্য পশু, ঝাঁক বেঁধে চরে বেড়ানো ছোট ছোট প্রাণী এবং সমস্ত মানুষ মারা গেল। 22শুকনা মাটির উপর যে সব প্রাণী বাস করত, অর্থাৎ শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে যারা বেঁচে ছিল তারা সবাই মরে গেল। 23আল্লাহ্‌এইভাবে ভূমির সমস্ত প্রাণী দুনিয়ার উপর থেকে মুছে ফেললেন। তাতে মানুষ, পশু, বুকে-হাঁটা প্রাণী এবং আকাশের পাখী দুনিয়ার উপর থেকে মুছে গেল। কেবল নূহ্‌এবং তাঁর সংগে যাঁরা জাহাজে ছিলেন তাঁরাই বেঁচে রইলেন। 24দুনিয়া একশো পঞ্চাশ দিন পানিতে ডুবে রইল।

পয়দায়েশ 8

মহাবন্যার শেষে

1জাহাজে নূহ্‌এবং তাঁর সংগে যে সব গৃহপালিত ও বন্য পশু ছিল আল্লাহ্‌তাদের কথা ভুলে যান নি। তিনি দুনিয়ার উপরে বাতাস বহালেন, তাতে পানি কমতে লাগল। 2এর আগেই মাটির নীচের সমস্ত পানি বের হওয়া এবং আকাশের সব ফাটলগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং আকাশ থেকে বৃষ্টি পড়াও থেমে গিয়েছিল। 3তাতে মাটির উপরকার পানি সরে যেতে থাকল, আর বন্যা শুরু হওয়ার একশো পঞ্চাশ দিন পরে দেখা গেল পানি অনেক কমে গেছে। 4সপ্তম মাসের সতেরো দিনের দিন জাহাজটা আরারাতের পাহাড়শ্রেণীর উপরে গিয়ে আট্‌কে রইল। 5এর পরেও পানি কমে যেতে লাগল, আর দশম মাসের প্রথম দিনে পাহাড়শ্রেণীর চূড়া দেখা দিল।

6এর চল্লিশ দিন পরে নূহ্‌জাহাজের যে জানালাটা তৈরী করেছিলেন সেটা খুললেন, 7আর সেই জানালা দিয়ে তিনি একটা দাঁড়কাক ছেড়ে দিলেন। মাটির উপর থেকে পানি শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত দাঁড়কাকটা এদিক ওদিক ঘোরাফেরা করতে লাগল। 8মাটির উপর থেকে পানি কমে গেছে কিনা তা জানবার জন্য নূহ্‌এর পর একটা কবুতর ছেড়ে দিলেন। 9কিন্তু তখনও গোটা দুনিয়ার উপরে পানি ছিল, তাই কোথাও পা রাখবার জায়গা না পেয়ে সেটা জাহাজে নূহের কাছে ফিরে আসল। নূহ্‌হাত বাড়িয়ে সেই কবুতরকে জাহাজে নিজের কাছে নিলেন। 10তারপর তিনি আরও সাত দিন অপেক্ষা করে আবার সেই কবুতরটা জাহাজ থেকে ছেড়ে দিলেন। 11সন্ধ্যাবেলা কবুতরটা জাহাজে নূহের কাছে ফিরে আসল আর তাঁর ঠোঁটে ছিল জলপাই গাছ থেকে এইমাত্র ছিঁড়ে আনা একটা পাতা। এতে নূহ্‌বুঝতে পারলেন মাটির উপর থেকে পানি কমে গেছে। 12তিনি আরও সাত দিন অপেক্ষা করে আবার সেই কবুতরটা ছেড়ে দিলেন, কিন্তু এবার সেটা আর তাঁর কাছে ফিরে আসল না।

13নূহের বয়স তখন ছ’শো এক বছর চলছিল। সেই বছরের প্রথম মাসের প্রথম দিনেই মাটির উপর থেকে পানি সরে গিয়েছিল। তখন নূহ্‌জাহাজের ছাদ খুলে ফেলে তাকিয়ে দেখলেন যে, মাটির উপরটা শুকাতে শুরু করেছে। 14দ্বিতীয় মাসের সাতাশ দিনের মধ্যে মাটি একেবারে শুকিয়ে গেল।

15তখন আল্লাহ্‌নূহ্‌কে বললেন, 16“তুমি তোমার স্ত্রীকে আর তোমার ছেলেদের ও তাদের স্ত্রীদের নিয়ে জাহাজ থেকে বের হয়ে এস, 17আর সেই সংগে সমস্ত পশু-পাখী এবং বুকে-হাঁটা প্রাণী, অর্থাৎ যত জীবজন্তু আছে তাদের সকলকেই বের করে নিয়ে এস। আমি চাই যেন দুনিয়াতে তাদের বংশ অনেক বেড়ে যায় এবং বংশবৃদ্ধির ক্ষমতা দ্বারা তারা সংখ্যায় বেড়ে ওঠে।”

18তখন নূহ্‌তাঁর স্ত্রীকে আর তাঁর ছেলেদের ও তাঁদের স্ত্রীদের নিয়ে জাহাজ থেকে বের হয়ে আসলেন। 19তাঁদের সংগে সব পশু-পাখী এবং বুকে-হাঁটা প্রাণী, অর্থাৎ মাটির উপরে ঘুরে বেড়ানো সমস্ত প্রাণী নিজের নিজের জাত অনুসারে বের হয়ে গেল।

মহাবন্যার পরে প্রথম কোরবানী

20তারপর নূহ্‌মাবুদের উদ্দেশ্যে একটা কোরবানগাহ্‌তৈরী করলেন এবং প্রত্যেক জাতের পাক পশু ও পাখী থেকে কয়েকটা নিয়ে সেই কোরবানগাহের উপরে পোড়ানো-কোরবানী দিলেন। 21মাবুদ সেই কোরবানীর গন্ধে খুশী হলেন এবং মনে মনে বললেন, “মানুষের দরুন আর কখনও আমি মাটিকে বদদোয়া দেব না, কারণ ছোটবেলা থেকেই তো মানুষের মনের ঝোঁক খারাপীর দিকে। এবার যেমন আমি সমস্ত প্রাণীকে ধ্বংস করেছি তেমন আর কখনও করব না। 22যতদিন এই দুনিয়া থাকবে ততদিন নিয়ম মত বীজ বোনা আর ফসল কাটা, ঠাণ্ডা আর গরম, শীতকাল আর গরমকাল এবং দিন ও রাত হতেই থাকবে।”

পয়দায়েশ 9

সমস্ত প্রাণীর জন্য আল্লাহ্‌র ব্যবস্থা স্থাপন

1আল্লাহ্‌নূহ্‌আর তাঁর ছেলেদের দোয়া করে বললেন, “তোমরা বংশবৃদ্ধির ক্ষমতা দ্বারা সংখ্যায় বেড়ে ওঠো এবং দুনিয়া ভরে তোলো। 2দুনিয়ার সব জীবজন্তু, আকাশের পাখী, বুকে-হাঁটা প্রাণী, আর সমুদ্রের মাছ তোমাদের ভীষণ ভয় করে চলবে। এগুলো তোমাদের হাতেই দেওয়া হল। 3জীবন্ত ও ঘুরে বেড়ানো সমস্ত প্রাণীই তোমাদের খাবার হবে। খাবার হিসাবে আমি আগে যেমন তোমাদের শস্য ও শাক-সবজী দিয়েছিলাম তেমনি এখন এই সবও তোমাদের দিলাম; 4কিন্তু প্রাণ সুদ্ধ, অর্থাৎ রক্তসুদ্ধ গোশ্‌ত তোমরা খাবে না। 5কেউ যদি তোমাদের খুন করে তবে আমি নিশ্চয়ই তোমাদের রক্তের বদলে তার রক্ত, অর্থাৎ তার প্রাণ দাবি করব, সে পশু হোক বা মানুষ হোক। মানুষের প্রাণ যে মানুষ নেয় তারও প্রাণ নিতে হবে- এ-ই আমার দাবি। 6আল্লাহ্‌মানুষকে তাঁর মত করেই সৃষ্টি করেছেন; সেইজন্য কোন মানুষকে যদি কেউ খুন করে তবে অন্য একজনকে সেই খুনীর প্রাণ নিতে হবে। 7তোমরা তোমাদের বংশবৃদ্ধির ক্ষমতা দ্বারা নিজেদের সংখ্যা বাড়িয়ে তোলো। তোমরা দুনিয়ার চারদিকে ছড়িয়ে পড় এবং নিজেদের সংখ্যা আরও বাড়াও।”

8-10পরে আল্লাহ্‌নূহ্‌ও তাঁর ছেলেদের বললেন, “তোমাদের ও তোমাদের বংশধরদের জন্য এবং যে সব জীবজন্তু তোমাদের সংগে ছিল, অর্থাৎ যে সব পাখী এবং গৃহপালিত ও বন্য পশু তোমাদের সংগে জাহাজ থেকে বের হয়ে এসেছে- এক কথায় দুনিয়ার সমস্ত জীবজন্তুদের জন্য আমি এখন আমার এই ব্যবস্থা স্থাপন করছি। 11সেই ব্যবস্থা হল এই যে, বন্যার পানি দিয়ে আর কখনও সমস্ত প্রাণীকে মেরে ফেলা হবে না এবং গোটা দুনিয়া ধ্বংস করে দেবার মত বন্যাও আর হবে না।”

12-13আল্লাহ্‌আরও বললেন, “যে ব্যবস্থা আমি তোমাদের ও তোমাদের সংগের সমস্ত প্রাণীর জন্য স্থাপন করলাম তা বংশের পর বংশ ধরেই চলবে। সেই ব্যবস্থার চিহ্ন হিসাবে মেঘের মধ্যে আমি আমার রংধনু দেখাব। এটাই হবে দুনিয়ার জন্য আমার সেই ব্যবস্থার চিহ্ন। 14যখন আমি উপরে মেঘ জমা করব তখন তার মধ্যে এই রংধনু দেখা দেবে, 15আর তখনই তোমার এবং সমস্ত জীবজন্তুর জন্য আমার এই ব্যবস্থার কথা আমি মনে করব। এতে পানি আর কখনও বন্যা হয়ে সমস্ত প্রাণীকে ধ্বংস করবে না। 16মেঘের মধ্যে যখন সেই রংধনু দেখা দেবে তখন আমি তা দেখে দুনিয়ার সমস্ত প্রাণীর জন্য আমার এই চিরস্থায়ী ব্যবস্থার কথা মনে করব।”

17আল্লাহ্‌তারপর নূহ্‌কে বললেন, “দুনিয়ার সমস্ত প্রাণীর জন্য আমি যে ব্যবস্থা স্থাপন করেছি এটাই হল তার চিহ্ন।”