২ করিন্থীয় 13
শেষ বার সতর্ক করা
1আমি এই তৃতীয় বার তোমাদের কাছে আসছি। কিতাবে লেখা আছে, “দুই বা তিনজন সাক্ষীর কথায় এই সব বিষয় সত্যি বলে প্রমাণিত হয়।” 2দ্বিতীয় বার আমি যখন তোমাদের কাছে ছিলাম তখন যারা আগে গুনাহ্করেছিল তাদের এবং অন্যান্য সবাইকে আমি সাবধান করেছিলাম। এখন আমি উপস্থিত না থেকেও আবার তোমাদের সাবধান করে বলছি যে, আমি যখন আবার আসব তখন কাউকেই রেহাই দেব না, 3কারণ মসীহ্যে আমার মধ্য দিয়ে কথা বলছেন তার প্রমাণ তোমরা চাইছ। তিনি তোমাদের ব্যাপারে দুর্বল নন, বরং তাঁর শক্তি তিনি তোমাদের মধ্যে দেখান। 4তাঁকে দুর্বল অবস্থায় ক্রুশের উপরে হত্যা করা হয়েছিল বটে, কিন্তু আল্লাহ্র শক্তিতে তিনি জীবিত আছেন। আমরা তাঁর সংগে যুক্ত হয়ে দুর্বল হয়েছি, কিন্তু তোমাদের জন্য আল্লাহ্র শক্তিতে তাঁর সংগে আমরা জীবিত থাকব।
5তোমরা নিজেদের পরীক্ষা করে দেখ তোমরা সত্যি করে মসীহের উপর ঈমান এনেছ কি না। তোমরা নিজেদের যাচাই করে দেখ। তোমরা কি বোঝ না যে, মসীহ্ঈসা তোমাদের দিলে আছেন? অবশ্য যাচাই করবার ফলে তোমরা যদি অখাঁটি বলে ধরা না পড়। 6কিন্তু আমি আশা করি তোমরা বুঝতে পারবে যে, আমরা খাঁটি বলে প্রমাণিত হয়েছি। 7আমরা আল্লাহ্র কাছে মুনাজাত করি যেন তোমরা কোন খারাপ কাজ না কর। অন্যেরা যাতে আমাদের খাঁটি বলে মনে করে সেইজন্যই যে আমরা এটা চাইছি তা নয়। আমরা চাই, তারা আমাদের খাঁটি বলে মনে না করলেও তোমরা যেন যা ভাল তা-ই কর। 8সত্যের বিরুদ্ধে আমাদের কোন ক্ষমতা নেই কিন্তু সত্যের পক্ষে আছে। 9যখন আমরা দুর্বল হই আর তোমরা বলবান হও তখন আমরা আনন্দিত হই। আর আমরা মুনাজাত করি যেন তোমরা সব কিছু শুধ্রে নিয়ে পূর্ণতার দিকে এগিয়ে যাও। 10এইজন্য আমার অনুপসি'ত থাকবার সময়েই আমি তোমাদের কাছে এই সব লিখছি, যেন উপস্থিত হলে পর প্রভু আমাকে যে অধিকার দিয়েছেন তা কঠিনভাবে ব্যবহার করতে না হয়। সেই অধিকারের উদ্দেশ্য হল তোমাদের গড়ে তোলা, তোমাদের ক্ষতি করা নয়।
শেষ সালাম
11ভাইয়েরা, এবার বিদায়। তোমরা তোমাদের সব কিছু শুধ্রে নিয়ে পূর্ণতার দিকে এগিয়ে যাও। আমার কথায় মনোযোগ দাও, তোমাদের একই মনোভাব হোক, আর তোমরা শান্তিতে থাক। তাহলে মহব্বত ও শান্তির আল্লাহ্তোমাদের সংগে থাকবেন।
12মহব্বতের মনোভাব নিয়ে তোমরা একে অন্যকে সালাম জানায়ো। 13আল্লাহ্র সব বান্দারা তোমাদের সালাম জানাচ্ছে।
14হযরত ঈসা মসীহের রহমত, আল্লাহ্র মহব্বত এবং পাক-রূহের যোগাযোগ-সম্বন্ধ তোমাদের সকলের দিলে থাকুক। ॥ভব