হিজরত 35
বিশ্রামবারের নিয়ম
1পরে মূসা বনি-ইসরাইলদের জমায়েত করে বললেন, “মাবুদ তোমাদের পালন করবার জন্য এই সব হুকুম দিয়েছেন। 2সপ্তার ছয় দিন তোমরা কাজ করবে কিন্তু সপ্তম দিনটি হবে তোমাদের একটা পবিত্র দিন, মাবুদের উদ্দেশে বিশ্রামের দিন। সেই দিনে যে কাজ করবে তাকে হত্যা করতে হবে। 3বিশ্রামবারে তোমাদের কোন ঘরে যেন আগুন জ্বালানো না হয়।”
আবাস-তাম্বুর জন্য জিনিসপত্র
4-5 মূসা বনি-ইসরাইলদের বললেন, “মাবুদ হুকুম দিয়েছেন যেন তোমাদের যা আছে তা থেকে তাঁর উদ্দেশে তোমরা দান নিয়ে আস। যারা নিজের ইচ্ছায় দিতে চায় তারা মাবুদের জন্য এই সব জিনিস আনবে: সোনা, রূপা ও ব্রোঞ্জ; 6নীল, বেগুনে ও লাল রংয়ের সুতা আর মসীনা সুতা; ছাগলের লোম; 7লাল রং করা ভেড়ার চামড়া, শুশুকের চামড়া; বাব্লা কাঠ; 8আলো জ্বালাবার জন্য জলপাইয়ের তেল; অভিষেক-তেল ও খোশবু ধূপের জন্য মসলা; 9এফোদ ও বুক-ঢাকনের উপরে বসাবার জন্য বৈদূর্যমণি ও অন্যান্য দামী পাথর।
10“তোমাদের মধ্যে যারা ওস্তাদ কারিগর তারা এসে মাবুদ যা হুকুম দিয়েছেন তা তৈরী করবে। 11সেগুলো হল আবাস-তাম্বু ও তার উপরকার ছাউনি; সমস্ত আংটা, ফ্রেম, হুড়কা, খুঁটি এবং পা-দানি; 12ডাণ্ডাসুদ্ধ সাক্ষ্য-সিন্দুক, তার ঢাকনা এবং তা আড়াল করে রাখবার পর্দা; 13ডাণ্ডাসুদ্ধ টেবিল ও তার জিনিসপত্র এবং মাবুদের পবিত্র-রুটি; 14আলোর জন্য বাতিদান ও তার জিনিসপত্র, তার বাতি আর আলো জ্বালাবার তেল; 15ডাণ্ডাসুদ্ধ ধূপগাহ্; অভিষেক-তেল এবং খোশবু ধূপ; আবাস-তাম্বুর দরজার পর্দা; 16ব্রোঞ্জের ঝাঁঝরিসুদ্ধ পোড়ানো-কোরবানীর কোরবানগাহ্, তার ডাণ্ডা ও বাসন-কোসন; আসনসুদ্ধ ব্রোঞ্জের গামলা; 17খুঁটি ও খুঁটির পা-দানিসুদ্ধ উঠানের পর্দা ও উঠানে ঢুকবার দরজার পর্দা; 18উঠানের পর্দার ও আবাস-তাম্বুর গোঁজ ও দড়ি; 19পবিত্র তাম্বু-ঘরে এবাদত-কাজের জন্য পোশাক, অর্থাৎ ইমাম হারুনের জন্য বুনানো পবিত্র পোশাক এবং তার ছেলেদের ইমাম হিসাবে এবাদত-কাজের পোশাক।”
20এর পর বনি-ইসরাইলরা মূসার কাছ থেকে চলে গেল। 21অন্তর থেকে সাড়া পেয়ে তারা নিজের ইচ্ছায় মাবুদকে দেবার উদ্দেশ্যে মিলন-তাম্বু তৈরী ও তার এবাদত-কাজের জন্য এবং ইমামের পবিত্র পোশাকের জন্য দরকার মত সব কিছু নিয়ে ফিরে আসল। 22পুরুষ ও স্ত্রীলোকদের মধ্যে যাদের মনে ইচ্ছা হল তারা নানা রকম সোনার গহনাও নিয়ে আসল। তার মধ্যে ছিল কাপড় আট্কাবার পিন, কানের গহনা, আংটি এবং অন্যান্য রকমের গহনা। মাবুদের উদ্দেশে দোলন-কোরবানীর জন্য তারা এই সব দিল। 23যাদের কাছে নীল, বেগুনে ও লাল রংয়ের সুতা এবং মসীনা সুতা কিংবা ছাগলের লোম, লাল রং করা ভেড়ার চামড়া কিংবা শুশুকের চামড়া ছিল তারা সেগুলো নিয়ে আসল। 24যাদের কাছে রূপা ও ব্রোঞ্জ ছিল তারা সেগুলো মাবুদকে দেবার জন্য নিয়ে আসল। আবাস-তাম্বু তৈরীর কাজে লাগতে পারে এমন বাব্লা কাঠ যাদের কাছে ছিল তারা তা নিয়ে আসল। 25যে স্ত্রীলোকেরা সুতা কাটবার কাজে ওস্তাদ তারা নীল, বেগুনে ও লাল রংয়ের সুতা এবং মসীনা সুতা নিজের হাতে কেটে আনল। 26যারা অন্তর থেকে সাড়া পেল এবং সুতা কাটবার কাজ জানত সেই সব স্ত্রীলোকেরা ছাগলের লোম দিয়ে সুতা তৈরী করে আনল। 27এফোদ ও বুক-ঢাকনের উপরে বসাবার জন্য নেতারা বৈদূর্যমণি ও অন্যান্য দামী পাথর নিয়ে আসলেন। 28বাতি জ্বালাবার তেল এবং অভিষেক-তেল ও খোশবু ধূপ তৈরী করবার জন্য তাঁরা মসলা ও জলপাইয়ের তেলও নিয়ে আসলেন। 29মূসার মধ্য দিয়ে মাবুদ যা করবার নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই সব কাজ করবার জন্য ইসরাইলীয় স্ত্রীলোক এবং পুরুষদের মধ্যে যাদের ইচ্ছা হল তারা মাবুদকে দেবার জন্য যার যা খুশী নিয়ে আসল।
বৎসলেল ও অহলীয়াব
30-31 এর পর মূসা বনি-ইসরাইলদের বললেন, “মাবুদ এহুদা-গোষ্ঠীর হূরের নাতি, অর্থাৎ ঊরির ছেলে বৎসলেলকে বেছে নিয়েছেন এবং আল্লাহ্র রূহে পূর্ণ করে তিনি তাঁকে জ্ঞান, বিবেচনাশক্তি, অভিজ্ঞতা এবং সব রকম কারিগরী কাজের ক্ষমতা দিয়েছেন। 32তাতে তিনি নিজের মন থেকে সোনা, রূপা ও ব্রোঞ্জের উপর সুন্দর সুন্দর নক্শা তৈরী করতে পারবেন, 33দামী দামী পাথর কাটতে ও বসাতে পারবেন আর কাঠের এবং অন্যান্য সুন্দর সুন্দর হাতের কাজও করতে পারবেন। 34এছাড়া অন্যদের এই সব কাজ শিখাবার ক্ষমতাও মাবুদ বৎসলেলকে ও দান-গোষ্ঠীর অহীষামকের ছেলে অহলীয়াবকে দিয়েছেন। 35তিনি তাঁদের নানা রকম হাতের কাজ, নীল, বেগুনে ও লাল রংয়ের সুতা ও মসীনা সুতা দিয়ে সেলাই করে নক্শা তোলার কাজ এবং তাঁতের কাজ করবার ক্ষমতা দিয়েছেন। তাঁরা সব রকম হাতের কাজ করতে পারবেন এবং নিজের মন থেকে নানা রকম নক্শাও করতে পারবেন।