হিজরত 37
সাক্ষ্য-সিন্দুক
1বৎসলেল বাব্লা কাঠ দিয়ে সাক্ষ্য-সিন্দুকটা তৈরী করলেন। সেটা আড়াই হাত লম্বা, দেড় হাত চওড়া এবং দেড় হাত উঁচু করে তৈরী করা হল। 2তার ভিতর এবং বাইরে খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়ানো হল এবং তার চার কিনারা ধরে রইল সোনার নক্শা। 3ছাঁচে ফেলে চারটা সোনার কড়া তৈরী করে তার চারটা পায়ায় লাগানো হল- এপাশে দু’টা, ওপাশে দু’টা। 4তারপর বাব্লা কাঠ দিয়ে দু’টা ডাণ্ডা তৈরী করে তা সোনা দিয়ে মুড়ানো হল। 5সিন্দুকটা বয়ে নেবার জন্য তার দু’পাশের কড়ার মধ্য দিয়ে সেই দু’টা ডাণ্ডা ঢুকিয়ে দেওয়া হল।
6তারপর বৎসলেল খাঁটি সোনা দিয়ে সিন্দুকের ঢাকনাটা তৈরী করলেন। সেটা লম্বায় হল আড়াই হাত এবং চওড়ায় দেড় হাত। 7ঢাকনাটার কিনারার সোনা পিটিয়ে দু’টি কারুবী তৈরী করা হল। 8কারুবী দু’টি সিন্দুকের দুই কিনারায় রইল। সেই কারুবী দু’টি ঢাকনা থেকে এমনভাবে তৈরী করা হল যাতে সমস্তটা মিলে মাত্র একটা জিনিসই হয়। 9তাদের ডানাগুলো উপর দিকে মেলে দেওয়া হল এবং সেই ডানার ছায়ার নীচে রইল সিন্দুকের ঢাকনাটা। কারুবীরা সামনাসামনি দাঁড়িয়ে রইল এবং তাদের চোখ রইল ঢাকনাটার দিকে।
আবাস-তাম্বুর টেবিল
10বৎসলেল বাব্লা কাঠ দিয়ে দুই হাত লম্বা, এক হাত চওড়া ও দেড় হাত উঁচু করে একটা টেবিল তৈরী করলেন। 11তিনি সেটা খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়িয়ে নিলেন এবং তার চার কিনারা ধরে রইল সোনার নক্শা। 12টেবিলটার চারপাশের কিনারায় চার আংগুল উঁচু করে একটা বেড় তৈরী করা হল। সেই বেড়ের উপর সোনা দিয়ে নক্শার কাজ করা হল। 13ছাঁচে ফেলে চারটা সোনার কড়া তৈরী করে টেবিলের চার কোণায় চারটা পায়ার উপরে লাগিয়ে দেওয়া হল। 14সেই কড়াগুলো টেবিলের কিনারায় ঐ উঁচু বেড়ের কাছাকাছি লাগানো হল যাতে টেবিলটা বয়ে নেবার জন্য কড়ার মধ্য দিয়ে ডাণ্ডা ঢুকানো যায়। 15টেবিলটা বয়ে নেবার ডাণ্ডাগুলো বাব্লা কাঠ দিয়ে তৈরী করে সোনা দিয়ে মুড়ানো হল। 16টেবিলের জিনিসপত্র খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরী করা হল। সেগুলো হল বড় ও ছোট থালা আর ঢালন-কোরবানীর সব কলসী ও পেয়ালা।
বাতিদান
17খাঁটি সোনা দিয়ে বৎসলেল একটা বাতিদান তৈরী করলেন। তার নীচের অংশ এবং তা থেকে উঠে যাওয়া ডাঁটিটা সোনা পিটিয়ে তৈরী করা হল। তার ফুলের মত পেয়ালাগুলো, কুঁড়ি ও ফুল বাতিদান থেকে বের হয়ে আসল এবং সমস্তটা মিলে মাত্র একটা জিনিসই হল। 18বাতিদানের দু’পাশ দিয়ে তিনটা তিনটা করে মোট ছয়টা ডাল তৈরী করা হল। 19প্রথম ডালের মাঝে মাঝে ফুল ও কুঁড়িসুদ্ধ বাদাম ফুলের মত দেখতে তিনটা পেয়ালা তৈরী করা হল। তার পরের ডালেও তা-ই করা হল। বাতিদান থেকে বের হয়ে আসা ছয়টা ডাল একই রকম হল। 20বাতিদানের ডাঁটিটার মাঝে মাঝেও ফুল ও কুঁড়িসুদ্ধ বাদাম ফুলের মত দেখতে চারটা পেয়ালা তৈরী করা হল। 21বাতিদান থেকে বের হয়ে আসা মোট ছয়টা ডালের মধ্যে প্রথম দু’টি যেখানে মিশেছে তার নীচে রইল একটা কুঁড়ি, দ্বিতীয় দু’টির নীচে আর একটা কুঁড়ি এবং তৃতীয় দু’টির নীচে আর একটা কুঁড়ি। 22কুঁড়ি এবং ডাল সবই বাতিদান থেকে বের হয়ে আসল এবং সমস্তটা মিলে একটা জিনিসই হল। সবটাই খাঁটি সোনা পিটিয়ে তৈরী করা হল। 23খাঁটি সোনা দিয়ে সাতটা বাতি, সল্তে পরিষ্কার করবার চিম্টা ও সল্তের পোড়া অংশ রাখবার জন্য কয়েকটা পাত্র তৈরী করা হল। 24ত্রিশ কেজি খাঁটি সোনা দিয়ে এই বাতিদানটা ও তার সব জিনিসপত্র তৈরী করা হল।
ধূপগাহ্
25বৎসলেল বাব্লা কাঠ দিয়ে চারকোনা বিশিষ্ট একটা ধূপগাহ্তৈরী করলেন। এক হাত লম্বা, এক হাত চওড়া ও দুই হাত উঁচু করে ধূপগাহ্টা তৈরী করা হল। শিংসুদ্ধ গোটা ধূপগাহ্টা মাত্র একটা জিনিসই হল। 26ধূপগাহের উপরটা, তার চারপাশ এবং শিংগুলো খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হল। ধূপগাহ্টার চার কিনারা ধরে রইল সোনার নক্শা। 27ধূপগাহের দু’পাশে নক্শার নীচে দু’টা করে সোনার কড়া লাগানো হল যাতে তার ভিতর দিয়ে ডাণ্ডা ঢুকিয়ে সেটা বয়ে নেওয়া যায়। 28সেই ডাণ্ডাগুলো বাব্লা কাঠ দিয়ে তৈরী করে সোনা দিয়ে মুড়িয়ে নেওয়া হল। 29এছাড়া খোশবু জিনিস তৈরী করবার মত করে খাঁটি খোশবু ধূপ এবং পবিত্র অভিষেক-তেলও তৈরী করা হল।