ইশাইয়া 63
আল্লাহ্র প্রতিশোধ নেবার দিন
1যিনি ইদোমের বস্রা থেকে লাল রংয়ে রাংগানো পোশাকে আসছেন, উনি কে? যিনি জাঁকজমকপূর্ণ পোশাকে মহাশক্তিতে এগিয়ে আসছেন, উনি কে?
“এ আমি, আমি ন্যায়ভাবে কথা বলি, আমি মহাশক্তিতে উদ্ধার করি।”
2আংগুর মাড়াই করবার গর্তে যে লোক আংগুর মাড়াই করে তার মত তোমার পোশাক লাল কেন?
3“আমি একাই আংগুর মাড়াই করেছি; জাতিদের মধ্যে কেউ আমার সংগে ছিল না। আমি রাগ হয়ে তাদের পায়ে দলেছি এবং ক্রোধে তাদের পায়ে মাড়িয়েছি; তাদের রক্তের ছিটা আমার পোশাকে লেগেছে আর সমস্ত কাপড়ে দাগ লেগেছে। 4এখন মুক্ত করবার সময় এসে গেছে; সেইজন্য আমি প্রতিশোধের যে সময় ঠিক করেছিলাম তা-ও এসে গেছে। 5আমি চেয়ে দেখলাম, কিন্তু সাহায্যকারী কাউকে পেলাম না; আমি আশ্চর্য হলাম যে, কেউ আমাকে সাহায্য করল না। সেইজন্য আমি নিজের শক্তিতেই উদ্ধারের কাজ করলাম, আর আমার রাগ আমাকে উৎসাহ দিল। 6আমি রাগ হয়ে জাতিদের পায়ে মাড়ালাম; আমার ক্রোধে তাদের মাতালের মত করলাম আর মাটিতে তাদের রক্ত ঢেলে দিলাম।”
প্রশংসা ও মুনাজাত
7আমি মাবুদের অটল মহব্বতের কথা বলব আর তাঁর সব কাজের জন্য তাঁর প্রশংসা করব। তাঁর মমতা ও তাঁর প্রচুর মহব্বতের দরুন তিনি ইসরাইল জাতির জন্য প্রচুর পরিমাণে ভাল কাজ করেছেন বলে আমি তাঁর প্রশংসা করব। 8তিনি বলেছেন, “অবশ্যই তারা আমার বান্দা, তারা এমন সন্তান যারা অবিশ্বস্ত হবে না,” আর সেইজন্যই তিনি তাদের উদ্ধারকর্তা হলেন। 9তাদের সব দুঃখে তিনিও দুঃখিত হলেন আর তাঁর ফেরেশতা তাদের উদ্ধার করলেন। তাঁর মহব্বত ও দয়ায় তিনি তাদের মুক্ত করলেন; আগেকার কালের সমস্ত দিনে তিনি তাদের তুলে বহন করেছিলেন। 10তবুও তারা বিদ্রোহ করে তাঁর পাক-রূহ্কে দুঃখ দিত। সেইজন্য তিনি ফিরে তাদের শত্রু হলেন আর তিনি নিজে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে লাগলেন। 11তখন তাঁর বান্দারা পুরানো দিনের কথা, অর্থাৎ মূসা ও তাঁর লোকদের দিনের কথা মনে করল। তারা বলল, “যিনি তাঁর বান্দাদের ও তাদের নেতাদের সমুদ্রের মধ্য দিয়ে নিয়ে এসেছিলেন, যিনি তাদের মধ্যে থাকবার জন্য তাঁর পাক-রূহ্কে দিয়েছিলেন তিনি কোথায়? 12যিনি মূসাকে সাহায্য করবার জন্য তাঁর গৌরবময় শক্তিশালী জনকে দিয়েছিলেন, যিনি নিজের সুনাম চিরস্থায়ী করবার জন্য তাদের সামনে পানিকে দু’ভাগ করেছিলেন, 13যিনি সমুদ্রের মধ্য দিয়ে তাদের নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি কোথায়? সেইজন্য মরুভূমিতে চলা ঘোড়ার মত তারা উচোট খায় নি। 14মাবুদের রূহ্উপত্যকায় নেমে যাওয়া পশুপালের মত তাদের বিশ্রাম দিয়েছিলেন। তাঁর গৌরবময় নাম স্থাপন করবার জন্য তিনি এমনি করেই তাঁর বান্দাদের পরিচালনা করেছিলেন।”
15হে মাবুদ, বেহেশত থেকে, তোমার পবিত্র ও গৌরবময় বাসস্থান থেকে তুমি তাকিয়ে দেখ। তোমার আগ্রহ ও তোমার শক্তিপূর্ণ কাজ কোথায়? তোমার নরমভাব ও মমতা আমাদের কাছ থেকে তুমি সরিয়ে রেখেছ। 16হে মাবুদ, তুমি তো আমাদের পিতা। যদিও ইব্রাহিম আমাদের জানেন না কিংবা ইয়াকুব আমাদের স্বীকার করেন না, তবুও তুমিই আমাদের পিতা; তুমি অনন্তকালের মুক্তিদাতা- এ-ই তোমার নাম। 17হে মাবুদ, তোমার পথ ছেড়ে কেন আমাদের ঘুরে বেড়াতে দিচ্ছ? আমরা যেন তোমাকে ভয় না করি সেইজন্য কেন তুমি আমাদের দিল কঠিন করছ? তোমার গোলামদের জন্য, অর্থাৎ যে গোষ্ঠীগুলো তোমার অধিকার, তাদের জন্য তুমি ফিরে এস। 18তোমার পবিত্র জায়গা অল্প দিনের জন্য তোমার পবিত্র বান্দাদের হাতে ছিল, কিন্তু এখন আমাদের শত্রুরা সেটা পায়ে মাড়িয়েছে। 19তুমি যাদের উপর কখনও কর্তৃত্ব কর নি, যাদের কখনও তোমার নামে ডাকাও হয় নি, এখন আমরা তাদের সমান হয়েছি।