শুমারী 11
হালাল ও হারাম খাবার
1-3 মাবুদ মূসা ও হারুনকে বনি-ইসরাইলদের বলতে বললেন, “ভূমির উপর বাস করা জীবজন্তুর মধ্যে যেগুলো জাবর কাটে আর সেই সংগে যেগুলোর খুর পুরোপুরি দু’ভাগে চেরা কেবল সেগুলোর গোশ্তই তোমাদের জন্য হালাল। 4কোন কোন পশু কেবল জাবর কাটে, আবার কোন কোন পশুর কেবল চেরা খুর আছে; সেগুলো তোমাদের জন্য হারাম। উট জাবর কাটলেও তার খুর চেরা নয়, সেইজন্য তা তোমাদের পক্ষে নাপাক। 5শাফনও জাবর কাটে কিন্তু তার খুর চেরা নয়, সেইজন্য তা-ও তোমাদের পক্ষে নাপাক। 6খরগোশ জাবর কাটলেও তার খুর চেরা নয়, সেইজন্য তা-ও নাপাক। 7শূকরের খুর একেবারে দু’ভাগে চেরা, কিন্তু সে জাবর কাটে না, তাই তা তোমাদের পক্ষে নাপাক। 8এগুলোর গোশ্ত তোমাদের জন্য হারাম এবং তাদের মৃতদেহও ছোঁবে না। এগুলো তোমাদের পক্ষে নাপাক।
9“সমুদ্র ও নদীর পানিতে যে সব প্রাণী বাস করে তাদের মধ্যে যাদের ডানা এবং গায়ে আঁশ আছে সেগুলো তোমাদের জন্য হালাল। 10কিন্তু যেগুলোর ডানা আর আঁশ নেই সেগুলো ঘৃণার জিনিস বলে তোমাদের ধরে নিতে হবে- তা পানিতে ঝাঁক বেঁধে ঘুরে বেড়ানো প্রাণীই হোক কিংবা অন্যান্য প্রাণীই হোক। 11ঘৃণার জিনিস বলে সেগুলো তোমাদের জন্য হারাম এবং সেগুলোর মৃতদেহও ঘৃণার জিনিস বলে তোমাদের ধরে নিতে হবে। 12পানিতে বাস করে অথচ ডানা আর আঁশ নেই এমন সব প্রাণীদের ঘৃণার জিনিস বলে ধরে নিতে হবে।
13“কতগুলো পাখীও আছে যেগুলো ঘৃণার জিনিস বলে তোমাদের ধরে নিতে হবে, আর সেইজন্য সেগুলো তোমাদের খাওয়া চলবে না। সেগুলো হল ঈগল, শকুন, কালো শকুন, 14-16 চিল, সব রকমের শিকারী বাজ, সব রকমের কাক, উট পাখী, লক্ষ্মীপেঁচা, গাংচিল, সব রকমের বাজ পাখী, 17কালপেঁচা, হাড়গিলা, হুতুম পেঁচা, 18সাদা পেঁচা, মরু-পেঁচা, সিন্ধুবাজ, 19সারস, সব রকমের বক, হুপ্পু পাখী আর বাদুড়।
20“যে সব চার পায়ে হাঁটা পোকা উড়ে বেড়ায় সেগুলোকে ঘৃণার জিনিস বলে ধরে নিতে হবে। 21তবে তার মধ্যে যেগুলোর হাঁটু আছে বলে মাটির উপর লাফিয়ে বেড়াতে পারে সেগুলোর কোন কোনটা তোমাদের জন্য হালাল। 22সেগুলো হল সব রকমের পংগপাল, বাঘা-ফড়িং, ঝিঁঝি কিংবা ঘাস-ফড়িং। 23কিন্তু অন্য যে সব উড়ে বেড়ানো পোকার চারটা করে পা আছে সেগুলোকে ঘৃণার জিনিস বলে ধরে নিতে হবে।
24“এগুলো দিয়ে তোমরা নাপাক হবে। যে কেউ তাদের মৃতদেহ ছোঁবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে। 25যদি কেউ তাদের কোন একটার মৃতদেহ হাত দিয়ে তোলে তবে তাকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে ফেলতে হবে আর সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে।
26“যে সব পশুর খুর চেরা হলেও পুরোপুরি দুই ভাগে ভাগ করা নয় কিংবা যে সব পশু জাবর কাটে না সেগুলো তোমাদের পক্ষে নাপাক। যে এগুলো ছোঁবে সে নাপাক হবে। 27চার পায়ে হাঁটা জীবজন্তুর মধ্যে যেগুলো থাবায় ভর করে চলে সেগুলো তোমাদের পক্ষে নাপাক। যে তাদের মৃতদেহ ছোঁবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে। 28যে কেউ তাদের মৃতদেহ হাত দিয়ে তুলবে তাকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে ফেলতে হবে আর সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে। এই সব জীবজন্তু তোমাদের পক্ষে নাপাক।
29“যে সব ছোটখাটো প্রাণী মাটির উপর ঘুরে বেড়ায় সেগুলোর মধ্যে বেজী, ইঁদুর, সব রকমের গিরগিটি; 30তক্ষক, গোসাপ, টিকটিকি, রক্তচোষা এবং কাঁকলাস তোমাদের পক্ষে নাপাক। 31ছোটখাটো প্রাণীদের মধ্যে এগুলোই হবে তোমাদের পক্ষে নাপাক। এদের মৃতদেহ যে ছোঁবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে। 32এগুলোর যে কোন একটা মরে কোন জিনিসের উপর পড়লে সেটা নাপাক হবে- সেটা কাঠ, কাপড়, চামড়া কিংবা চট যা দিয়েই তৈরী হোক না কেন আর যে কোন কাজেরই হোক না কেন। সেই জিনিসটা পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে। সেটা সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে, তারপর তা পাক-সাফ হবে। 33এগুলোর মধ্যে কোন একটা যদি কোন মাটির পাত্রের মধ্যে পড়ে তবে তার ভিতরকার সব কিছু নাপাক হয়ে যাবে। সেই পাত্রটা ভেংগে ফেলতে হবে। 34সেই পাত্রের পানি যদি কোন খাওয়ার জিনিসের উপর পড়ে তবে সেই খাওয়ার জিনিসও নাপাক হয়ে যাবে। সেই পাত্রের মধ্যে যদি কোন পানীয় থাকে তবে তা-ও নাপাক হয়ে যাবে। 35এগুলোর মৃতদেহ কোন কিছুর উপর পড়লে তা-ও নাপাক হয়ে যাবে। এগুলো কোন তন্দুরে বা কোন চুলায় পড়লে তা ভেংগে ফেলতে হবে। সেই তন্দুর বা চুলা নাপাক, আর তোমাদের তা নাপাক বলেই মানতে হবে। 36তবে সেগুলো যদি কোন ঝর্ণা কিংবা কূয়ার মধ্যে পড়ে তবে সেই ঝর্ণা বা কূয়া নাপাক হবে না; কিন্তু এদের মৃতদেহ যে ছোঁবে সে নিজে নাপাক হবে। 37জমিতে বুনবার জন্য রাখা কোন বীজের উপর যদি এগুলোর কোন মৃতদেহ পড়ে তবে তা নাপাক হবে না; 38কিন্তু বীজের উপর পানি দেওয়া হলে পর যদি তা পড়ে তবে সেই বীজ তোমাদের পক্ষে নাপাক হবে।
39“তোমাদের হালাল কোন পশু মরে গেলে যে তার মৃতদেহ ছোঁবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে। 40কেউ যদি সেই মরা পশুর গোশ্ত খায় তবে তাকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে ফেলতে হবে এবং সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে। কেউ যদি সেই মরা পশু হাত দিয়ে তোলে তবে তাকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে ফেলতে হবে এবং সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে।
41“যে সব ছোটখাটো প্রাণী মাটির উপর ঘুরে বেড়ায় তোমাদের তা ঘৃণার জিনিস বলে ধরে নিতে হবে। সেগুলো তোমাদের জন্য হারাম। 42মাটির উপর ঘুরে বেড়ানো ছোটখাটো কোন প্রাণীই তোমরা খাবে না। সেগুলো সবই ঘৃণার জিনিস- সেগুলো পেটের উপর ভর দিয়েই চলুক আর চার পায়ে বা অনেক পায়েই হাঁটুক। 43সেগুলোর কোনটা দিয়ে তোমরা নিজেদের ঘৃণার পাত্র করে তুলবে না। তোমরা সেগুলো দিয়ে নিজেদের নাপাক করবে না কিংবা সেগুলোকে তোমাদের নাপাক করতে দেবে না। 44আমি আল্লাহ্তোমাদের মাবুদ। সেইজন্য তোমরা আমার উদ্দেশ্যে নিজেদের আলাদা করে রাখবে এবং পবিত্র হবে, কারণ আমি পবিত্র। মাটির উপরে ঘুরে বেড়ানো ছোটখাটো কোন প্রাণী দিয়ে তোমরা নিজেদের নাপাক করবে না, 45কারণ আমি মাবুদ; তোমাদের আল্লাহ্হওয়ার জন্য আমি মিসর দেশ থেকে তোমাদের বের করে এনেছি। আমি পবিত্র বলে তোমাদেরও পবিত্র হতে হবে।
46“পশু, পাখী এবং পানির মধ্যেকার প্রাণী আর মাটির উপর ঘুরে বেড়ানো সব ছোটখাটো প্রাণীদের সম্বন্ধে এই হল আমার আইন। 47কোন্টা পাক আর কোন্টা নাপাক, কোন্পশুর গোশ্ত তোমাদের জন্য হালাল আর কোন্পশুর গোশ্ত তোমাদের জন্য হারাম তা বুঝে তোমাদের চলতে হবে।”