শুমারী 12
সন্তান জন্মের পরে পাক-সাফ হওয়ার নিয়ম
1তারপর মাবুদ মূসাকে বললেন, 2“তুমি বনি-ইসরাইলদের বল, যদি কোন স্ত্রীলোক গর্ভবতী হয় এবং তার ছেলে হয় তবে সে তার মাসিকের সময়ের মতই নাপাক হবে। তার এই নাপাক অবস্থা সাত দিন চলবে। 3আট দিনের দিন ছেলেটির খৎনা করাতে হবে। 4তারপর সেই স্ত্রীলোককে তার রক্তস্রাব থেকে পাক-সাফ হবার জন্য তেত্রিশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তার পাক-সাফ হওয়ার আগের এই দিনগুলো কেটে না যাওয়া পর্যন্ত সে কোন পবিত্র জিনিস ছুঁতে পারবে না কিংবা পবিত্র তাম্বু-ঘরের এলাকায় যেতে পারবে না। 5কিন্তু যদি তার মেয়ে হয় তবে তার মাসিকের সময়ের মতই সে নাপাক হবে, কিন্তু তার এই নাপাক অবস্থা চলবে দু’সপ্তা। তারপর তাকে তার রক্তস্রাব থেকে পাক-সাফ হওয়ার জন্য ছেষট্টি দিন অপেক্ষা করতে হবে।
6“ছেলে বা মেয়ের জন্মের পরে তার পাক-সাফ হওয়ার আগের দিনগুলো কেটে যাবার পর তাকে মিলন-তাম্বুর দরজার সামনে ইমামের কাছে পোড়ানো-কোরবানীর জন্য এক বছরের একটা ভেড়ার বাচ্চা এবং গুনাহের কোরবানীর জন্য একটা কবুতর কিংবা একটা ঘুঘু নিয়ে যেতে হবে। 7ইমাম সেগুলো মাবুদের সামনে কোরবানী দিয়ে তার নাপাকী ঢাকা দেবে, আর তারপর সে তার রক্তস্রাবের নাপাক অবস্থা থেকে পাক-সাফ হবে। সন্তান জন্মের পর স্ত্রীলোকের জন্য এই হল নিয়ম। 8কোরবানীর জন্য যদি সে ভেড়ার বাচ্চা আনতে না পারে তবে তাকে দু’টা ঘুঘু না হয় দু’টা কবুতর আনতে হবে। তার মধ্যে একটা হবে পোড়ানো-কোরবানীর জন্য আর অন্যটা হবে গুনাহের কোরবানীর জন্য। এইভাবে ইমাম তার নাপাকী ঢাকা দেবে আর সে পাক-সাফ হবে।”