শুমারী 6
1-5 এর পর মাবুদ মূসাকে বললেন, “কারও কাছ থেকে জমা রাখা বা জামিন রাখা বা জুলুম করে নেওয়া কোন জিনিস নিয়ে ছলনা করা, তাকে ঠকানো, কিংবা কারও হারানো জিনিস পেয়েও মিথ্যা কথা বলা বা মিথ্যা কসম খাওয়া- এই রকম কোন গুনাহ্করে যদি কেউ মাবুদের প্রতি বেঈমানী করে দোষী হয়, তবে সে যা চুরি করেছে বা ঠকিয়ে নিয়েছে বা তার কাছে যা জমা রাখা হয়েছে কিংবা হারানো জিনিস যা সে পেয়েছে বা যে জিনিসের বিষয়ে সে মিথ্যা কসম খেয়েছে তা তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। তাকে পুরোপুরি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং তার সংগে সেই জিনিসের দামের পাঁচ ভাগের এক ভাগ দামও বেশী দিতে হবে। দোষের কোরবানীর দিনে সে জিনিসের মালিককে তা দেবে। 6অন্যায়ের জরিমানা হিসাবে সে তোমার ঠিক করে দেওয়া মূল্যের একটা নিখুঁত পুরুষ ভেড়া মাবুদের উদ্দেশে দোষের কোরবানীর জন্য ইমামের কাছে নিয়ে আসবে। 7ইমাম তা দিয়ে মাবুদের সামনে তার গুনাহ্ঢাকা দেবার ব্যবস্থা করবে। এই সব গুনাহের যেটা করেই সে দোষী হোক না কেন, তাকে মাফ করা হবে।”
পোড়ানো-কোরবানীর নিয়ম
8এর পর মাবুদ মূসাকে বললেন, 9“হারুন ও তার ছেলেদের জানিয়ে দাও যে, এই হল পোড়ানো-কোরবানীর নিয়ম। পোড়ানো-কোরবানীর জিনিস সারা রাত ধরে সকাল পর্যন্ত কোরবানগাহের আগুনের উপর থাকবে, আর কোরবানগাহের আগুন জ্বালিয়েই রাখতে হবে। 10সকালবেলায় ইমাম তার মসীনার কোর্তা ও জাংগিয়া পরে কোরবানগাহের উপরকার পোড়ানো-কোরবানীর ছাই তুলে নিয়ে কোরবানগাহের পাশে রাখবে। 11তারপর সে এই কাপড় ছেড়ে অন্য কাপড় পরে ছাউনির বাইরে কোন পাক-সাফ জায়গায় সেই ছাই নিয়ে যাবে। 12কোরবানগাহের উপরে আগুন জ্বালিয়েই রাখতে হবে, তা নিভতে দেওয়া চলবে না। প্রত্যেক দিন সকালবেলায় ইমাম সেই আগুনের উপর কাঠ দেবে এবং তাতে পোড়ানো-কোরবানী সাজিয়ে তার উপর যোগাযোগ-কোরবানীর চর্বি পোড়াবে। 13কোরবানগাহের আগুন সব সময় জ্বলতেই থাকবে, তা নিভে গেলে চলবে না।
শস্য-কোরবানীর নিয়ম
14“এই হল শস্য-কোরবানীর নিয়ম। হারুনের ছেলেরা শস্য-কোরবানীর জিনিস কোরবানগাহের কাছে মাবুদের সামনে নিয়ে যাবে। 15ইমাম তা থেকে এক মুঠো মিহি ময়দা, তেল এবং শস্য-কোরবানীর জিনিসের উপরে রাখা সমস্ত লোবান তুলে নিয়ে পুরো কোরবানীর বদলে তা কোরবানগাহের উপর পুড়িয়ে দেবে। এর গন্ধে মাবুদ খুশী হন। 16কোরবানীর জিনিসের বাদবাকী অংশ হারুন ও তার ছেলেরা খাবে। তা তাদের খেতে হবে খামি না মিশিয়ে কোন পবিত্র জায়গায়, অর্থাৎ মিলন-তাম্বুর উঠানে। 17তা যেন খামি মিশিয়ে সেঁকা না হয়। আমার উদ্দেশে আগুনে দেওয়া-কোরবানীর জিনিসের এই অংশ আমি তাদের দিলাম। গুনাহের কোরবানী এবং দোষের কোরবানীর মত শস্য-কোরবানীর এই অংশটাও মহাপবিত্র জিনিস। 18হারুনের বংশের সব পুরুষ লোকই তা খেতে পারবে। মাবুদের উদ্দেশে আগুনে দেওয়া-কোরবানীর জিনিসের এই অংশটা বংশের পর বংশ ধরে তাদের পাওনা। এই অংশটা যে ছোঁবে তাকে পাক-পবিত্র হতে হবে।”
19এর পর মাবুদ মূসাকে আরও বললেন, 20“হারুনের অভিষেকের দিনে হারুন ও তার ছেলেরা নিয়মিত শস্য-কোরবানীর মত এক কেজি আটশো গ্রাম মিহি ময়দা মাবুদের উদ্দেশে নিয়ে আসবে। তার অর্ধেকটা সকালে আর অর্ধেকটা সন্ধ্যায় কোরবানী করতে হবে। 21শস্য-কোরবানী হিসাবে সেই ময়দা তেলের ময়ান দিয়ে তাওয়ায় ভেজে টুকরা টুকরা অবস্থায় মাবুদের কাছে উপস্থিত করতে হবে। এর গন্ধে মাবুদ খুশী হন। 22হারুনের পরে তার যে ছেলেকে মহা-ইমাম-পদের জন্য অভিষেক করা হবে তাকেও এই কোরবানী করতে হবে। এটা মাবুদের নিয়মিত পাওনা, আর তার সবটাই পুড়িয়ে দিতে হবে। 23ইমামের আনা শস্য-কোরবানীর সবটাই পুড়িয়ে ফেলতে হবে; তা খাওয়া চলবে না।”
গুনাহের কোরবানীর নিয়ম
24তারপর মাবুদ মূসাকে বললেন, 25“হারুন ও তার ছেলেদের বল যে, এই হল গুনাহের কোরবানীর নিয়ম। পোড়ানো-কোরবানীর পশু কাটবার জায়গায় মাবুদের সামনে গুনাহের কোরবানীর পশুও জবাই করতে হবে। এই কোরবানীর গোশ্ত মহাপবিত্র জিনিস। 26যে ইমাম এই কোরবানী দেবে সে এই গোশ্ত খাবে। কোন পবিত্র জায়গায়, অর্থাৎ মিলন-তাম্বুর উঠানে তা খেতে হবে। 27এই গোশ্ত যে ছোঁবে তাকে পাক-পবিত্র হতে হবে। যদি কাপড়ে পশুটার রক্তের ছিটা লাগে তবে পবিত্র তাম্বু-ঘরের এলাকায় তা ধুয়ে ফেলতে হবে। 28যে মাটির হাঁড়ীতে এই কোরবানীর গোশ্ত সিদ্ধ করা হবে তা ভেংগে ফেলতে হবে, কিন্তু যদি ব্রোঞ্জের পাত্রে তা সিদ্ধ করা হয় তবে সেটা মেজে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। 29ইমাম-পরিবারের যে কোন পুরুষ লোক তা খেতে পারবে। এটা মহাপবিত্র জিনিস। 30পবিত্র স্থানে গুনাহ্ঢাকা দেবার উদ্দেশ্যে যদি গুনাহের কোরবানীর কোন পশুর রক্ত মিলন-তাম্বুতে নিয়ে যাওয়া হয় তবে তার গোশ্ত খাওয়া চলবে না, তা পুড়িয়ে ফেলতে হবে।