মালাখি 2
ইমামদের কাছে সতর্কবাণী
1-2 আল্লাহ্রাব্বুল আলামীন বলছেন, “হে ইমামেরা, এখন তোমাদের কাছে আমি এই সতর্কবাণী পাঠাচ্ছি। তোমরা যদি আমার কথা না শোন এবং আমার সম্মানের দিকে মনোযোগ না দাও তবে আমি তোমাদের উপর একটা বদদোয়া পাঠাব এবং তোমাদের সব দোয়াকে বদদোয়ায় বদলে দেব। জ্বী, আমি আগেই তা করেছি, কারণ আমার সম্মানের দিকে তোমরা মনোযোগ দাও নি। 3তোমাদের দরুনই আমি তোমাদের বংশধরদের শাস্তি দেব; তোমাদের ঈদের কোরবানীর পশুর ময়লা আমি তোমাদের মুখে মাখিয়ে দেব এবং সেই ময়লা সুদ্ধই তোমাদের দূর করে দেওয়া হবে।”
4আল্লাহ্রাব্বুল আলামীন আরও বলছেন, “তোমরা জেনো যে, আমি তোমাদের কাছে এই সতর্কবাণী পাঠিয়েছি যাতে লেবির বংশের জন্য স্থাপন করা আমার ব্যবস্থা চালু থাকে। 5তাদের জন্য আমি যে ব্যবস্থা স্থাপন করেছিলাম তা হল জীবন ও শান্তির ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থা আমি তাদের দিয়েছিলাম। এছাড়া এটা ভয়ের ব্যবস্থাও বটে, যেন তারা আমাকে ভয় করে; সত্যিই তারা আমাকে ভয় করত। 6তাদের মুখে সত্যিকারের শিক্ষা ছিল এবং তাতে কোন মিথ্যা থাকত না। শান্তিতে ও সততায় তারা আমার সংগে চলাফেরা করত এবং অনেককে গুনাহ্থেকে ফিরাত। 7আসলে আল্লাহ্র ইচ্ছা সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়া ইমামদের উচিত যাতে সেই শিক্ষা হারিয়ে না যায়। এছাড়া আল্লাহ্র কালাম জানবার জন্য ইমামদের কাছেই লোকদের যাওয়া উচিত, কারণ তারাই আল্লাহ্রাব্বুল আলামীনের সংবাদদাতা। 8কিন্তু তোমরা ঠিক পথ থেকে সরে গেছ এবং তোমাদের শিক্ষার দ্বারা অনেককে উচোট খাইয়েছ। এইভাবে লেবির বংশের জন্য স্থাপন করা ব্যবস্থা তোমরা বাদ দিয়েছ। আমি আল্লাহ্রাব্বুল আলামীন বলছি। 9তোমরা আমার পথে চল নি বরং শরীয়তের ব্যাপারে লোকদের সংগে তোমরা একচোখামি করেছ। সেইজন্য সমস্ত লোকদের সামনে আমি তোমাদের তুচ্ছের ও অসম্মানের পাত্র করেছি।”
এহুদার বেঈমানী
10আমাদের সকলের পিতা কি একজন নন? একজন আল্লাহ্কি আমাদের সৃষ্টি করেন নি? তাহলে আমরা কেন একে অন্যের সংগে বেঈমানী করে আমাদের পূর্বপুরুষদের জন্য স্থাপন করা ব্যবস্থা অসম্মানিত করি? 11এহুদা বেঈমানী করেছে। ইসরাইল দেশে ও জেরুজালেমে জঘন্য কাজ করা হয়েছে। এহুদার লোকেরা দেবতা পূজাকারী মেয়েদের বিয়ে করে মাবুদ যাদের মহব্বত করেন তাদের নাপাক করেছে। 12যারা এই রকম কাজ করে তারা যদিও বা আল্লাহ্রাব্বুল আলামীনের উদ্দেশে কোরবানীর জিনিস নিয়ে আসে তবুও মাবুদ ইয়াকুবের বংশের মধ্য থেকে তাদের সবাইকে শেষ করে দেবেন।
13আর একটা খারাপ কাজ তোমরা করে থাক; সেটা হল, চোখের পানিতে তোমরা মাবুদের কোরবানগাহ্ভাসাও। তোমরা কান্নাকাটি ও বিলাপ কর, কারণ তোমরা যা দাও তার প্রতি তিনি আর মনোযোগ দেন না কিংবা খুশী মনে তোমাদের হাত থেকে তা কবুলও করেন না। 14তোমরা বলছ, “কেন করেন না?” এর কারণ হল, মাবুদ তোমাদের প্রত্যেক লোকের ও তার যৌবনকালের স্ত্রীর বিয়ের সাক্ষী হয়েছিলেন; কিন্তু যদিও সেই স্ত্রী তার সংগী, তার বিয়ের চুক্তি করা স্ত্রী, তবুও সে তার সংগে বেঈমানী করেছে। 15মাবুদ কি স্বামী ও স্ত্রীকে এক করেন নি? শরীরে ও রূহে তারা তাঁরই। তারা কেন এক? কারণ তিনি তাদের মধ্য দিয়ে একটা আল্লাহ্ভক্ত বংশ রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। কাজেই তোমরা তোমাদের দিলের বিষয়ে সাবধান হও; যৌবনকালের স্ত্রীর সংগে তোমরা বেঈমানী কোরো না। 16ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্বলছেন, “আমি তালাক ঘৃণা করি।” এছাড়া আল্লাহ্রাব্বুল আলামীন বলছেন, “যে লোক কাপড় পরবার মত করে নিজেকে জুলুম দিয়ে সাজায় তার সেই কাজ আমি ঘৃণা করি। কাজেই তোমরা তোমাদের দিলের বিষয়ে সাবধান হও, বেঈমানী কোরো না।”
হাশরের দিন
17তোমরা নিজেদের কথার দ্বারা মাবুদকে ক্লান্ত করে তুলেছ। তবুও তোমরা বলছ, “কেমন করে আমরা তাঁকে ক্লান্ত করেছি?” তোমরা এইভাবে করেছ- তোমরা বলেছ, “যারা অন্যায় করে তারা সবাই মাবুদের চোখে ভাল এবং তিনি তাদের উপর সন্তুষ্ট,” কিংবা বলেছ, “কোথায় সেই আল্লাহ্যিনি ন্যায়বিচার করেন?”