মালাখি 3
1আল্লাহ্রাব্বুল আলামীন বলছেন, “দেখ, আমি আমার সংবাদদাতাকে পাঠাচ্ছি; সে আমার আগে গিয়ে পথ প্রস্তুত করবে। তারপর যে মালিকের জন্য তোমরা অপেক্ষা করছ তিনি হঠাৎ তাঁর ঘরে আসবেন; ব্যবস্থা কাজে পরিণতকারী সেই সংবাদদাতা, যাঁকে তোমরা চাইছ, তিনি আসছেন।”
2কিন্তু তাঁর আসবার দিন কেউ সহ্য করতে পারবে না; তিনি উপস্থিত হলে কেউ দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না; কারণ তিনি হবেন রূপা যাচাই করবার আগুন অথবা ধোপার সাবানের মত। 3যে লোক রূপা গলিয়ে খাঁটি করে তিনি তার মত হয়ে বসবেন। তিনি লেবীয়দের পাক-সাফ করবেন এবং সোনা ও রূপার মত করে তাদের খাঁটি করবেন। তারপর তারা সততার মনোভাব নিয়ে মাবুদের উদ্দেশে কোরবানী দেবে। 4তখন আগেকার দিনের মত করে, পুরানো দিনের মত করে এহুদা ও জেরুজালেমের লোকদের কোরবানীর জিনিস মাবুদকে সন্তুষ্ট করবে।
5আল্লাহ্রাব্বুল আলামীন বলছেন, “তখন আমি বিচার করবার জন্য তোমাদের কাছে আসব; সেই সময় জাদুকর, জেনাকারী, মিথ্যা সাক্ষী এবং যারা মজুরদের মজুরীতে ঠকায়, যারা বিধবা ও এতিমদের জুলুম করে আর বিদেশীদের ন্যায়বিচার পেতে দেয় না, অর্থাৎ যারা আমাকে ভয় করে না তাদের সকলের বিরুদ্ধে আমি সাক্ষ্য দিতে দেরি করব না।
আল্লাহ্র পাওনা না দেওয়া
6“আমি মাবুদ, আমার কোন পরিবর্তন নেই। সেইজন্য হে ইয়াকুবের বংশধরেরা, তোমরা ধ্বংস হচ্ছ না। 7তোমাদের পূর্বপুরুষদের সময় থেকেই তোমরা আমার সব নিয়ম-কানুন থেকে সরে গেছ এবং তা পালন কর নি। আমার কাছে ফিরে এস, আর আমিও তোমাদের কাছে ফিরে আসব। কিন্তু তোমরা বলছ, ‘আমরা কেমন করে ফিরে আসব?’ 8মানুষ কি আল্লাহ্কে ঠকাবে? কিন্তু তোমরা তো আমাকে ঠকা"ছ। তবুও তোমরা বলছ, ‘আমরা তোমাকে কি করে ঠকাচ্ছি?’ আয়ের দশ ভাগের এক ভাগ ও দানের ব্যাপারে তোমরা আমাকে ঠকা"ছ। 9তোমরা বদদোয়ার তলায় রয়েছ, তবুও তোমাদের গোটা জাতি আমাকে ঠকাচ্ছে। 10তোমরা তোমাদের সমস্ত আয়ের দশ ভাগের এক ভাগ ভাণ্ডার-ঘরে আনবে যাতে আমার ঘরে খাবার থাকে। এই বিষয়ে তোমরা আমাকে পরীক্ষা করে দেখ, আমি আল্লাহ্রাব্বুল আলামীন আসমানের সব দরজা খুলে তোমাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত দোয়া ঢেলে দিই কি না। 11আমি গ্রাসকারী পোকাকে বাধা দেব যাতে তারা তোমাদের ফসল খেয়ে না ফেলে; এছাড়া তোমাদের ক্ষেতে আংগুর লতার ফল ঝরে পড়বে না। 12তখন সমস্ত জাতি তোমাদের ধন্য বলবে, কারণ তোমাদের দেশটা হবে আনন্দদায়ক। আমি আল্লাহ্রাব্বুল আলামীন এই কথা বলছি।”
13মাবুদ আবার বলছেন, “তোমরা আমার বিরুদ্ধে শক্ত শক্ত কথা বলেছ, কিন্তু তোমরা বলছ, ‘তোমার বিরুদ্ধে আমরা কি বলেছি?’ 14তোমরা বলেছ, ‘আল্লাহ্র এবাদত করা অনর্থক। তাঁর শরীয়ত অনুসারে কাজ করাতে এবং শোক প্রকাশ করে আল্লাহ্রাব্বুল আলামীনের সামনে চলাফেরা করাতে আমাদের কি লাভ হল? 15এখন আমরা গর্বিত লোকদের ধন্য বলছি; জ্বী, অন্যায়কারীরা উন্নতি করছে; তারা আল্লাহ্কে পরীক্ষা করেও রেহাই পাচ্ছে।’ ”
16তখন যারা মাবুদকে ভয় করত তারা একে অন্যের সংগে কথাবার্তা বলল এবং মাবুদ তা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন। যারা মাবুদকে ভয় করত ও তাঁর বিষয় গভীরভাবে চিন্তা করত তাদের স্মরণ করবার জন্য তাঁর সামনে একটা কিতাব লেখা হল। 17তাদের বিষয়ে আল্লাহ্রাব্বুল আলামীন বলছেন, “আমার নির্দিষ্ট করা দিনে তারা আমার নিজের বিশেষ সম্পত্তি হবে; তারা আমারই হবে। একজন লোক যেমন তার সেবাকারী ছেলেকে মমতা করে শাস্তি থেকে রেহাই দেয় তেমনি করে আমি তাদের রেহাই দেব। 18তখন তোমরা সৎ ও দুষ্টের মধ্যে, অর্থাৎ যে আমার এবাদত করে আর যে করে না তাদের মধ্যে আমি কিভাবে পার্থক্য করি তা দেখতে পাবে।”