শুমারী 28
প্রতিদিনের কোরবানীর নিয়ম
1-2 মাবুদ মূসাকে বনি-ইসরাইলদের এই কথা বলতে বললেন, “আমাকে খুশী করবার খোশবু হিসাবে আমার উদ্দেশে আগুনে দেওয়া-কোরবানীর জন্য তোমরা নির্দিষ্ট সময়ে আমার খাবার নিয়ে আসতে ভুল কোরো না।” 3তিনি তাদের এই কথাও বলতে বললেন, “আগুনে দেওয়া-কোরবানীর জন্য মাবুদের সামনে প্রত্যেক দিনের নিয়মিত পোড়ানো-কোরবানীর জন্য তোমাদের এক বছরের দু’টা নিখুঁত বাচ্চা-ভেড়া আনতে হবে। 4তার একটা বাচ্চা সকালে কোরবানী দেবে ও অন্যটা দেবে বেলা ডুবে গেলে পর। 5এর সংগে থাকবে শস্য-কোরবানীর জন্য এক কেজি আটশো গ্রাম মিহি ময়দা। এই ময়দার সংগে প্রায় এক লিটার জলপাই-ছেঁচা তেল মিশিয়ে আনতে হবে। 6এটা সেই নিয়মিত পোড়ানো-কোরবানী যা তুর পাহাড়ে স্থাপন করা হয়েছিল। এটা মাবুদের উদ্দেশে আগুন্তেদেওয়া একটা কোরবানী যার খোশবুতে মাবুদ খুশী হন। 7প্রত্যেকটা ভেড়ার সংগে প্রায় এক লিটার মদানো-রস দিয়ে ঢালন-কোরবানী করতে হবে। পবিত্র তাম্বুর উঠানে মাবুদের উদ্দেশে এই ঢালন-কোরবানীর জিনিস ঢেলে দিতে হবে। 8ভেড়ার অন্য বাচ্চাটা বেলা ডুবে গেলে পর কোরবানী দিতে হবে। তার সংগে থাকবে সকালবেলার মত শস্য-কোরবানী ও ঢালন-কোরবানী। এটা একটা আগুনে দেওয়া-কোরবানী যার খোশবুতে মাবুদ খুশী হন।
বিশ্রামবারের কোরবানীর নিয়ম
9“বিশ্রামবারে দু’টা এক বছরের নিখুঁত ভেড়ার বাচ্চা কোরবানী দিতে হবে। তার সংগে থাকবে তার সংগেকার ঢালন-কোরবানীর জিনিস এবং শস্য-কোরবানীর জন্য তেলের ময়ান দেওয়া তিন কেজি ছ’শো গ্রাম মিহি ময়দা। 10নিয়মিত পোড়ানো-কোরবানী এবং তার সংগেকার ঢালন-কোরবানী ছাড়াও প্রত্যেক বিশ্রামবারে এই পোড়ানো-কোরবানী দিতে হবে।
মাসিক কোরবানীর নিয়ম
11“প্রত্যেক মাসের প্রথম দিনে মাবুদের উদ্দেশে পোড়ানো-কোরবানীর জন্য দু’টা ষাঁড়, একটা ভেড়া এবং এক বছরের সাতটা বাচ্চা-ভেড়া কোরবানী দিতে হবে। সেগুলোর প্রত্যেকটাকেই নিখুঁত হতে হবে। 12-13 শস্য-কোরবানীর জন্য প্রত্যেকটা ষাঁড়ের সংগে তেলের ময়ান দেওয়া পাঁচ কেজি চারশো গ্রাম মিহি ময়দা দিতে হবে; ভেড়াটার সংগে দিতে হবে তিন কেজি ছ’শো গ্রাম এবং প্রত্যেকটা বাচ্চা-ভেড়ার সংগে দিতে হবে এক কেজি আটশো গ্রাম। এটা পোড়ানো-কোরবানী, মাবুদের উদ্দেশে আগুন্তেদেওয়া একটা কোরবানী যার খোশবুতে মাবুদ খুশী হন। 14ঢালন-কোরবানীর জন্য প্রত্যেকটা ষাঁড়ের সংগে পৌনে দুই লিটার আংগুর-রস দিতে হবে; ভেড়াটার সংগে দিতে হবে সোয়া লিটার এবং প্রত্যেকটা বাচ্চা-ভেড়ার সংগে দিতে হবে প্রায় এক লিটার। এটা হল মাসিক পোড়ানো-কোরবানী। বছরের প্রত্যেক মাসে এটা দিতে হবে। 15নিয়মিত পোড়ানো-কোরবানী এবং তার সংগেকার ঢালন-কোরবানী ছাড়া একটা ছাগল দিয়ে গুনাহের কোরবানী দিতে হবে।
উদ্ধার-ঈদের কোরবানীর নিয়ম
16“বছরের প্রথম মাসের চৌদ্দ তারিখে মাবুদের উদ্দেশে উদ্ধার-ঈদ পালন করতে হবে। 17সেই মাসের পনেরো তারিখে একটা ঈদ করতে হবে। তখন সাত দিন ধরে খামিহীন রুটি খেতে হবে। 18প্রথম দিনে একটি পবিত্র মিলন-মাহ্ফিল করতে হবে এবং সেই দিন তোমাদের কোন পরিশ্রমের কাজ করা চলবে না। 19সেই দিন মাবুদের উদ্দেশে আগুনে দেওয়া-কোরবানী হিসাবে দু’টা ষাঁড়, একটা ভেড়া এবং সাতটা এক বছরের বাচ্চা-ভেড়া দিয়ে পোড়ানো-কোরবানী দিতে হবে। সেগুলোর প্রত্যেকটাকে নিখুঁত হতে হবে। 20-21 শস্য-কোরবানীর জন্য প্রত্যেকটা ষাঁড়ের সংগে তেলের ময়ান দেওয়া পাঁচ কেজি চারশো গ্রাম মিহি ময়দা দিতে হবে; ভেড়াটার সংগে দিতে হবে তিন কেজি ছ’শো গ্রাম এবং প্রত্যেকটা বাচ্চা-ভেড়ার সংগে দিতে হবে এক কেজি আটশো গ্রাম। 22এগুলোর সংগে তোমাদের গুনাহ্ঢাকা দেবার উদ্দেশ্যে গুনাহের কোরবানীর জন্য একটি ছাগলও আনতে হবে। 23সকালবেলার নিয়মিত পোড়ানো-কোরবানী ছাড়া এই সব কোরবানীও দিতে হবে। 24এইভাবে সাত দিনের প্রত্যেক দিন মাবুদকে খুশী করবার খোশবু হিসাবে এই সব খাবার দিয়ে আগুনে দেওয়া-কোরবানী দিতে হবে। নিয়মিত যে পোড়ানো-কোরবানী এবং তার সংগেকার ঢালন-কোরবানী রয়েছে তার উপর এটাও দিতে হবে। 25সপ্তম দিনে একটি পবিত্র মিলন-মাহ্ফিল করবে এবং সেই দিন তোমাদের কোন পরিশ্রমের কাজ করা চলবে না।
সাত সপ্তাহের ঈদের কোরবানীর নিয়ম
26“সাত সপ্তাহের ঈদের দিনে, অর্থাৎ প্রথমে তোলা ফসল কোরবানী করবার দিনে যখন তোমরা মাবুদের উদ্দেশে নতুন ফসল কোরবানী করবে সেই দিন তোমাদের একটি পবিত্র মিলন-মাহ্ফিল করতে হবে এবং সেই দিন তোমাদের কোন পরিশ্রমের কাজ করা চলবে না। 27সেই দিন মাবুদকে খুশী করবার খোশবু হিসাবে তোমাদের দু’টা ষাঁড়, একটা ভেড়া এবং সাতটা এক বছরের বাচ্চা-ভেড়া দিয়ে একটা পোড়ানো-কোরবানী দিতে হবে। 28-29 শস্য-কোরবানীর জন্য প্রত্যেকটা ষাঁড়ের সংগে তেলের ময়ান দেওয়া পাঁচ কেজি চারশো গ্রাম মিহি ময়দা দিতে হবে; ভেড়াটার সংগে দিতে হবে তিন কেজি ছ’শো গ্রাম এবং প্রত্যেকটা বাচ্চা-ভেড়ার সংগে দিতে হবে এক কেজি আটশো গ্রাম। 30গুনাহ্ঢাকা দেবার জন্য এগুলোর সংগে তোমাদের একটা ছাগলও আনতে হবে। 31এই সব কোরবানী এবং তার সংগেকার ঢালন-কোরবানীর সংগে নিয়মিত পোড়ানো-কোরবানী ও তার সংগেকার শস্য-কোরবানীও করতে হবে। পশুগুলোর দেহে যেন কোন খুঁত না থাকে।