জাকারিয়া 4
সোনার বাতিদান ও দু’টি জলপাই গাছ
1তারপর যে ফেরেশতা আমার সংগে কথা বলছিলেন তিনি ফিরে আসলেন এবং ঘুম থেকে জাগাবার মত করে আমাকে জাগালেন। 2তিনি আমাকে বললেন, “তুমি কি দেখতে পাচ্ছ?”
জবাবে আমি বললাম, “আমি একটা সোনার বাতিদান দেখতে পাচ্ছি যার মাথায় রয়েছে একটা তেলের পাত্র। সেই বাতিদানের উপরে সাতটা বাতি ও প্রত্যেকটি বাতিতে সাতটা সল্তে রাখবার জায়গা আছে। 3সেই বাতিদানের কাছে রয়েছে দু’টা জলপাই গাছ, ডানদিকে একটা ও বাঁদিকে আর একটা।”
4আমি সেই ফেরেশতাকে জিজ্ঞাসা করলাম, “হে হুজুর, এগুলো কি?”
5জবাবে তিনি আমাকে বললেন, “এগুলো কি তা কি তুমি জান না?”
আমি বললাম, “হে হুজুর, আমি জানি না।”
6তখন তিনি আমাকে বললেন, “মাবুদ সরুব্বাবিলকে এই সংবাদ দিচ্ছেন, ‘শক্তি বা ক্ষমতার দ্বারা নয়, কিন্তু আমি আল্লাহ্রাব্বুল আলামীন বলছি যে, আমার রূহ্দ্বারা তুমি সফল হবে। 7হে বিরাট পাহাড়, কে তুমি? সরুব্বাবিলের সামনে তুমি হবে সমভূমি। বায়তুল-মোকাদ্দসের শেষ পাথরটা লাগাবার সময় লোকেরা চিৎকার করে বলবে যে, ওটা খুব সুন্দর হয়েছে।’ ”
8তারপর মাবুদের এই কালাম আমার উপর নাজেল হল, 9“সরুব্বাবিলের হাত বায়তুল-মোকাদ্দসের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং তারই হাত সেটা শেষ করবে। তখন লোকেরা জানতে পারবে যে, আমি আল্লাহ্রাব্বুল আলামীনই তোমাকে তাদের কাছে পাঠিয়েছি। 10এতদিন যে সামান্য কাজ হয়েছে তা লোকে তুচ্ছ মনে করেছে। কিন্তু সরুব্বাবিলের হাতে ওলনদড়িটা দেখে লোকেরা আনন্দ করবে।”
তারপর আমি শুনলাম, “এই সাতটা বাতি হল মাবুদের চোখ যা সারা দুনিয়া দেখতে পায়।”
11তখন আমি সেই ফেরেশতাকে জিজ্ঞাসা করলাম, “ঐ বাতিদানের ডানে ও বাঁয়ে যে দু’টা জলপাই গাছ আছে সেগুলো কি?”
12আবার আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, “ঐ দু’টা জলপাই গাছের ডাল থেকে সোনালী তেল বের হয়ে এসে সোনার বাতিদানের দু’টি সল্তে রাখবার জায়গায় পড়েছে। ঐ ডালগুলোর অর্থ কি?”
13জবাবে তিনি বললেন, “তুমি কি জান না ঐ দু’টার অর্থ কি?”
আমি বললাম, “হে হুজুর, আমি জানি না।”
14তখন তিনি বললেন, “ঐ দু’টা হল সেই দু’জন যারা সমস্ত দুনিয়ার মালিকের এবাদত-কাজ করবার জন্য অভিষিক্ত হয়েছে।”